২৪খবরবিডি: বেগম রোকেয়া দিবস আজ (৯ ডিসেম্বর)। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এদিন সারাদেশে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'
'দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। নারীদের উন্নয়নে অবদান রাখায় এবার বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচ নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেবেন। এবারের বেগম রোকেয়া পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্রগ্রাম জেলার প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম (এ্যাডভোকেট), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন, পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম, নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ফরিদপুরের জেলার রহিমা খাতুন। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিবসটি পালন করা হবে। এর মধ্যে বিকাল সাড়ে ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে 'নারী সমাবেশ' করবে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। এর আগে সকাল ৯টায় রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করবে সংগঠনটি৷ বিকেলের সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু।'
'এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বানী দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। সংগঠনটি বলছে, বাঙালি মুসলমান সমাজের এই যে নারী-পুরুষের অসঙ্গতি; এর বিরুদ্ধে প্রথম যে কণ্ঠটি আওয়াজ তুলেছিল সেটি বেগম রোকেয়া। নারী স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও বেগম রোকেয়াকেই আমরা গণ্য করতে পারি। তিনি বাঙালি মুসলমানদের নব জাগরণের সূচনালগ্নে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের নেতৃত্ব দেন। উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে
'আজ বেগম রোকেয়া দিবস'
মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনও প্রচলন ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে ও লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।'